ফোনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১৫ সদস্যের টিম। এসে দেখে খবরটি ভুয়া। হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বুধবার (৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালকের ফোন নম্বরে একজন কল দিয়ে জানান, হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ১৫ সদস্যের একটি টিম নিয়ে হাসপাতালে দ্রুত চলে আসে। হাসপাতালের ৪টি তলাসহ পুরো হাসপাতাল খুঁজেও অগ্নিকাণ্ডের কিছুই পাননি। এসময় হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এরমধ্যে অনেকেই দৌড়ে হাসপাতাল ভবনের বাইরে চলে আসেন। এছাড়াও উৎসুক জনতাও হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমান। ফায়ারসার্ভিসের পক্ষ থেকে কল দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হলে অপরপক্ষের যুবক জানান, তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে আছেন এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খোঁজ করছেন। সেই যুবকের নাম টিপু। সে তার অসুস্থ রোগী নিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে আছেন।
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম জানান, এক যুবকের ফোন কলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের খবরে সদর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ ও টিম লিডার আব্দুর কাদিরসহ ১৫ সদস্যের একটি টিম পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পাইনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ জানান, সদর হাসপাতালে গিয়ে কোন ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না দেখে সেই ফোনে কল দিলে তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে আছেন বলে জানান। সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে ফোনটি এসেছিলো বলে জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।